দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: এবার আইনি বিপাকে কঙ্গনা রানাউতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। কুমার হেগড়ে নামে ওই দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব আন্ধেরির এক বিউটিশিয়ান। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি প্রতারণা এবং বিকৃত যৌনাচারের কথাও বলেছেন ওই মহিলা।

ওই নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, প্রায় আট বছর ধরে কুমার হেগড়েকে চেনেন তিনি। গত বছর জুন মাসে কুমার ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কও তৈরি হয় কুমারের। গত ২৭ এপ্রিল নির্যাতিতার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকাও নেন তিনি। তারপর আর ওই মহিলার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি কুমার। ইতিমধ্যে অন্য এক বন্ধুর মাধ্যমে ওই বিউটিশিয়ান জানতে পারেন কুমার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না। তার ঠিক বেশ কয়েকদিন পর এক মহিলা নিজেকে কুমারের মা পরিচয় দিয়ে ওই মহিলাকে ফোন করেন। কুমারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে বলেও জানান। তাই কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেও বারণ করে দেন ফোনের অপরপ্রান্তের ওই মহিলা। এরপরই লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা।

গত ১৯ মে কুমারের বিরুদ্ধে ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের করে মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে। প্রতারণার অভিযোগে ৪২০ ধারাতেও ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কুমার হেগড়ে। ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হওয়ায় একাধিকবার কুমার হেগড়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে কঙ্গনা রানাউতকে। এমনকী কুমারের জন্মদিন উদযাপন করতেও দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। তবে ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি কঙ্গনা রানাউত। অভিযুক্তের তরফেও মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২২ মে, ২০২১)