দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুই বছর আগে মাহির সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়েছে কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। দুই বছর আগে যদি আমাদের বিচ্ছেদ হতো তাহলে কী আমরা এতদিন একসঙ্গে সংসার করতাম? বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম? গত রোজার শুরুতেও আমি আর মাহি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। একসঙ্গে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি- কথাগুলো বলেছেন মাহির স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপু।

সোমবার (২৪ মে) একটি গণমাধ্যমকে মাহিয়া মাহি জানান, ‘আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। পরিবার ছাড়া বিষয়টি কেউ জানত না। হঠাৎ করেই সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা একসঙ্গে না থাকলেও দুজন বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরেছি, আড্ডা দিয়েছি। সেসব ছবি সামাজিক মাধ্যমেও এসেছে।’

এদিকে আর একদিন পর (২৫ মে) মাহি-অপু দম্পতির ৫ম বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু হঠাৎ কেন মাহি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তাদের এই দ্বন্দ্বের পেছনে পরকীয়ার কোনো ঘটনা আছে বলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

নিজেদের দাম্পত্য কলহ প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘সত্য কথা বলতে সংসার করতে গেলে দুজনের মধ্যে নানা বিষয়ে মতের অমিল হতে পারে। দুই বছর আগে কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে মান-অভিমান হয়েছিল। পরে তা ঠিকও হয়ে যায়। সমাজের অন্য আট-দশটা সংসারেও এমনটা হয়ে থাকে।’

বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনায় রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শনিবার (২২ মে) দিনগত রাতে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুর বাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গেলেও মাহি বরাবরই সেসব আলোচনাকে পাত্তা দেননি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪ মে, ২০২১)