হাফিজুরের মৃত্যু: নেপথ্যে এলএসডি, ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর তদন্তে নেমে এলএসডির সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি নামক (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদক জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।
ডিবি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই মাদকের সন্ধান পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে মিন্টু রোডে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলা হয়। এই গ্রুপে প্রায় এক হাজার সদস্য রয়েছে। তারা সবাই ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি বেচাকেনা এবং সেবনের সঙ্গে জড়িত। এ অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মাদক এলএসডি
একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান হত্যার তদন্তে নেমে পুলিশ মাদকের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ করে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে বুধবার (২৬ মে) রাতে রাজধানী থেকে তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা দীর্ঘদিন ধরে সুইডেন থেকে আমদানি করে আনতো মাদক এলএসডি। টাকা অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশে এলএসডি মাদক প্রথম জব্দ হয়েছে উল্লেখ করে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় তার তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। প্রতিক্রিয়া শুরু হলে একটি শর্ট পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান হাফিজুর। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) দ্রুত গেলে সেখান থেকে তিনি এক ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিজেই গলায় আঘাত করেন। এ কারণেই তিনি মারা যান বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭ মে, ২০২১)