দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক, ময়মসিংহ: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষে ধুলার আস্তরণ জমেছে। শ্রেণিকক্ষের ধুলার আস্তরণ পরিষ্কারের কথা বলায় ময়মসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানমকে পেটাল স্কুলের দপ্তরি।

নারী প্রধান শিক্ষককে পেটানোর পাশাপাশি দপ্তরি পরিবারের লোকজন ডেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করান। প্রকাশ্যে নারী শিক্ষক মারধরের শিকার হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক অবস্থায় আসায় আগামী ১৩ জুন সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানম স্কুলে ডাকেন দপ্তরি রাকিবকে। বলেন, শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করতে। কারণ দীর্ঘ বন্ধে কক্ষগুলোতে পড়ে গেছে ধুলার আস্তরণ।

দপ্তরি রাকিব সরাসরি ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে অপারগতা জানান। বন্ধে কোনোরকম কাজ করতে পারবে না বলে সাফ উত্তর দেন। অভিযোগ, এক কথা দু’কথা হতে হতে স্কুলের মাঠেই প্রধান শিক্ষক নীলুফাকে মারধর করেন দপ্তরি। এসময় রাকিবের ভাই এসেও গালমন্দ করেন নীলুফাকে।

প্রধান শিক্ষক নিলুফা বলেন, প্রকাশ্যে দপ্তরি মারধর করে। উপস্থিত মানুষ দপ্তরি বাধা দিয়েও আমি রক্ষা পায়নি। স্কুলের মাঠে আমার মাথায় সজোরে ঘুষি মারে। আমি হেড মিস্ট্রেস, আমাকে এভাবে মারতে পারে একজন দপ্তরি।

রাকিবের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সে নিয়মিত গাঁজা, ইয়াবা সেবন করে। কিছু করতে বললে ক্ষেপে উঠে।

ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন দপ্তরি রাকিবকে আটকালে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার শিক্ষক। পুলিশ বলছে, তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ মে, ২০২১)

গফরগাঁও পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা শুনেছি। শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে থেকে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ মে, ২০২১)