দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের হামাস সরকার প্রথমবারের মতো একজন নারী মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ইসরা আল-মদাল্লালকে নিয়োগ দিয়েছে হামাস।

২৩ বছর বয়সী আল-মদাল্লাল অনর্গল ব্রিটিশ ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন। দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই নতুন মুখের কথা ভাবছিল হামাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল-মদাল্লালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে হামাসের তরফ থেকে বলা হয়েছে। তিনি এরই মধ্যে গাজা শহরের নিজ কার্যালয়ে কাজ শুরু করেছেন।

তবে হামাস আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানালেন আল-মদাল্লাল। তিনি বলেন, ‘আমি হামাস নেই। আমি একজন ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী যে তার দেশকে ভালোবাসে।’

এজন্য হামাসের অন্য কর্মকর্তাদের মতো আল-মদাল্লালের কার্যালয়ে গাজা উপত্যকার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার কোনো ছবি নেই।

হামাস সরকারের গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান ইহাব গুসেইন জানান, ‘নারীরা আমাদের সামজেই অংশ। তাই পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিজেদের ভাবমুর্তি তুলে ধরতেই বেশ কয়েকজন নারীর মধ্য থেকে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, আল-মদাল্লাল একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। চলতিবছর ৩ জুলাই মিশরের প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর গুরুত্বপূর্ণ এক বন্ধু হারিয়েছে হামাস।

এছাড়া, ইসরায়েলের পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া কভারেজও হামাসের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে জানান ইহাব গুসেইন।

আল-মদাল্লালের শৈশর গাজায় কাটলেও পাঁচবছর ব্রিটেনে ছিলেন তিনি। সেখানে কলেজে পড়াশোনা শেষ করে গাজায় ফিরে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় পড়েছেন। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদক হিসেবে কাজও করেছেন তিনি। তার চার বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। তবে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে তার। সূত্র: এপি, আল-জাজিরা।

(দিরিপোর্ট২৪/কেএন/জেএম/নভেম্বর ১১, ২০১৩)