মোংলায় ৮ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মোংলায় করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার থেকে আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সর্বশেষ দুদিনে করোনা পরীক্ষায় যে রিপোর্ট এসেছে, তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ফলে কঠোর বিধিনিষেধের দিকে হাঁটছে প্রশাসন।
গত ২৮ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলে তাদের মধ্যে ১৪ জনেরই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আর ২৯ মে নমুনা দেওয়া ৪২ জনের মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৩১ জন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার ক্রমেই বাড়ছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে শনিবার রেকর্ড ৪২ জনের মধ্যে ৩১ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৭৩ দশমিক ৮০ ভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের মাধ্যমে গত এক মাস নয় দিনে ১৮২ জন করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে মোংলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট শুরু হয়।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কঠোর লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ গত সপ্তাহেও করোনা আক্রান্ত হয়ে এখানে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখানে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানছেন না কেউ। ফলে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি ও ক্রমান্বয়ে করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ ছাড়া সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য রবিবার থেকে পরবর্তী আট দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিধিনিষেধগুলো হলো- বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, মাস্কবিহীন কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ। পৌর শহরে প্রবেশ সংকুচিত ও সীমিত থাকবে। জরুরি পরিবহন ব্যতীত কোনো যানবাহন ঢুকবে না। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
ওষুধ ও জরুরি কৃষিপণ্য ব্যতীত সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচা ও মুদি বাজার, মাংস, মাছ ও ফলের দোকান প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অন্য এলাকা থেকে বিভিন্ন নৌযানে আসা কেউ পৌর এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৬ জনকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় পারাপার করতে হবে।
এ সকল বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে স্থানীয় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯ মে, ২০২১)