মাশরাফির হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে এলাকায় ভাঙচুর
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর এবং টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার রাত ১২টার দিকে পাংখারচর গ্রামের বুলবুল কাজী গ্রুপের পাঁচটি বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্তরা।
এর আগে গত ১৮ মে বিকালে বুলবুল কাজী ও লিচু কাজীর মধ্যাকার সংঘাত মেটাতে ওই এলাকায় যান নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মতুর্জা। এসময় দুইপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এলাকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এরপর মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে নড়াইলের পাংখারচর এলাকায় আবারও বাড়িঘর ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটল।
বুলবুল কাজীসহ তার লোকজন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষ লিচু কাজীর লোকজন রাতের আঁধারে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ হামলায় পাঁচটি ফ্রিজ, টেলিভিশন ও ড্রেসিংটেবিল, চারটি শোকেস, দুটি আলমারি ও সোফাসেট ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া বুলবুল কাজীর ঘর থেকে দুই লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, লুলু কাজীর ঘর থেকে ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, রান্নাঘর, বাথরুম, চুলা, জমির দলিলপত্র, বৈদ্যুতিক মিটার, টিউবওয়েল, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামালের ক্ষতি করা হয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, উল্টো বুলবুল কাজীর লোকজন তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বুলবুল কাজী ও লিচু কাজী গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, সাংসদ মাশরাফি স্যারের উপস্থিতিতে আমরা পাংখারচর গ্রামের দ্বন্দ্ব-সংঘাত মেটাতে চেষ্টা করি। তবুও দুইপক্ষের মধ্যে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১মে, ২০২১)