চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর মামলা দায়ের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভাড়া বাসা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর মামলা করেছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার (১ জুন) দিনগত রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউ মার্কেট-কলাবাগান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।
তিনি বলেন, নিহত চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা করেন। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর ১/৯৪।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, মামলা হওয়ার আগে থেকেই আমরা এটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারব।
এদিকে, মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মামাত ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েলের কাছে বিকেল সাড়ে ৩টায় হস্তান্তর করা হয়। পরে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ওইদিন প্রথমে আগুনের খবরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসায় আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান। নিহত চিকিৎসকের শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ ছিল বলে জানান তারা। মরদেহ উদ্ধারের পর পিঠে দুটি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। খবর পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট।
নিহত চিকিৎসক সাবিরার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছেন। দুই ভাই ও এক বোনের মাঝে সাবিরা ছিলেন সবার বড়। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার ভরসার বাজার এলাকায়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০২ জুন, ২০২১)