দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: হরমুজ প্রণালীর কাছে ইরানের নৌবাহিনীর বৃহত্তম একটি জাহাজ অগ্নিকাণ্ডের পর ডুবে গেছে। ওই জাহাজের প্রায় ৪০০ ক্রু ও প্রশিক্ষণার্থী নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে বুধবার দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে এই জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেবিষয়ে পরিষ্কার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইরানের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে খার্গ নামের ওই জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। ইরানের অন্যতম প্রধান তেল টার্মিনাল হিসেবে পরিচিত হরমুজ প্রণালীর খার্গ দ্বীপের নাম অনুসারে জাহাজটি নামকরণ করা হয়েছিল।

শেষ রাতে ধারণকৃত একটি ছবিতে দেখা যায়, জাহাজটির ক্রুরা জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এ সময় জাহাজটির পেছনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে দিনের আলোতে ধারণকৃত অপর একটি ছবিতে দেখা যায়, জাহাজটি জ্বলছে এবং কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে সেখানকার আকাশ।

ইরানের সেনাবাহিনী অবশ্য খার্গকে প্রশিক্ষণ জাহাজ হিসেবে দাবি করে বলেছে, জাহাজটিতে প্রায় ৪০০ ক্রু এবং প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তাদের সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সিকে বলেছেন, জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন হালকা আহত হয়েছেন।

তবে এখন পর্যন্ত এই জাহাজে আগুনের কোনও কারণ জানায়নি ইরানের সেনাবাহিনী। দেশটির সংবাদমাধ্যম আইআরএনএকে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে জাহাজটির ইঞ্জিন কক্ষ এবং অবয়ব গলে সাগরে ডুবে গেছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালীর কাছের ইরানের জাস্ক বন্দরের কাছে জাহাজটি ডুবে যায়। ব্রিটেনে তৈরি এই জাহাজ ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের আগ মুহূর্তে উদ্বোধন করা হয়। কয়েক বছরের বোঝাপড়া শেষে ১৯৮৪ সালে ইরানের নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয় এটি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০২ জুন, ২০২১)