দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: অনেক ছোট্ট বয়সেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তবুও দমেননি। নারী শিক্ষা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। এবার ব্রিটিশ ভোগ সাময়িকীর জুলাই সংস্করণে প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তিতে নোবেল পান মালালা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষে ২৩ বছর বয়সী কাজ শুরু করেছেন টিভি প্রযোজক হিসেবে। ভোগ সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের নানান কথা বলেছেন তিনি।

লাল-নীল-সাদা পোশাকে পাকিস্তানি কন্যার সাজেই ধরা দিয়েছেন মালালা। ভোগের প্রচ্ছদে মডেল হয়ে খুশি মালালা। তিনি বলেন, আমি আশা করি যে মেয়েই এ প্রচ্ছদ দেখবে সে জানবে, সেও এ বিশ্বটাতে পরিবর্তন আনতে পারে।

নিজের বিয়ে নিয়ে মালালা জানান, বিয়ের বিষয়ে বেশ সতর্ক তিনি। এখনো বিয়ের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নন। মালালা বলেন, আপনি কাউকে বিশ্বাস করবেন, কী করবেন না, সে বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হবেন? আমি বুঝি না মানুষকে কেন বিয়ে করতে হবে। আপনি যদিও জীবনে কাউকে চান তাহলে বিয়ের কাগজপত্রে কেন স্বাক্ষর দিতে হবে? এমন একে অপরের সহযোগী হয়ে থাকা যায় না?

তবে মালালা এও বলেছেন, তার এসব কথা একেবারের শুনতে চান না তার মা। মেয়েকে বকে দিয়ে তিনি বলেন, আর কখনো এসব কথা মুখে আনবে না। তোমাকেও বিয়ে করতে হবে। বিয়ের বিষয়টি সুন্দর।

গত বছরই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন মালালা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় কীভাবে উপভোগ করেছেন, সেসব কথা ভগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মালালা ইউসুফজাই।

অক্সফোর্ডে পড়ার আগে মালালা পড়াশোনা করেছেন বার্কিংহাম স্কুলে। তাঁর কথায়, সেখানে পড়ার সময় খ্যাতিই ছিল বিড়ম্বনা। মালালা জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁর কাছে জানতে চাইতেন এমা ওয়াটসন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অথবা বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো কেমন ছিল?

মালালার কথায়, ``আমি বুঝতে পারি না কী বলব, অস্বস্তিকর বিষয়। কারণ স্কুলের বাইরে আমাকে অনেকে ছাত্রী বা বন্ধু হিসেবে দেখে থাকে। আমি সবাইকে একটা কথাই বলতে চাই প্রত্যেকের সংস্কৃতির মধ্যে থেকেও নিজস্ব কণ্ঠস্বর প্রকাশ করতে পারলে তবেই সমতার পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব`

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে তালিবানি চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করার কারণে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরবর্তীকালে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যাম শহরের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানেই তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৩ জুন, ২০২১)