দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার বিকেল ৩টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশে নতুন নতুন বিনিয়োগ হবে, সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের। ফলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।

বাজেট বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের আয় বাড়ানোর পদ্ধতি ও পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টিকে জোর দিতে গিয়ে বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি প্রথমে কিছুটা হোঁচট খেলেও আমরা এটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে আমরা অর্থনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের অর্থনীতি এখন এগিয়ে চলেছে।

২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আগের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু মহামারির ধাক্কায় গতবছর থেকে সেই ধারায় কিছুটা ছেদ পড়েছে।

মহামারির বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে অর্থনীতি জাগানোর চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭.৫ শতাংশের সমান।

বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৩.২৪ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭.৯ শতাংশের সমান।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক অংশ নেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবেরাও উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৪ জুন, ২০২১)