দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: তিনি এখন শুধুই ম্যাকেঞ্জি স্কট। নাম থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন ম্যাকেঞ্জি বেজোস-এর শেষ অংশটি। অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সঙ্গে যখন ঘরসংসার করছিলেন তখন তিনি এই ‘বেজোস’ পদবী ব্যবহার করতেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ম্যাকেঞ্জি এখন শুধুই ম্যাকেঞ্জি স্কট। এ জন্য তিনি সংবাদ শিরোনাম হননি।

এবার তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজে আরও ২৭০ কোটি ডলার দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ জন্য জেফ বেজোসের সাবেক এই স্ত্রী আবার আলোচনায়, বিশ্ব মিডিয়ায়। এক ব্লগ পোস্টে মিস স্কট বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে, যাদের দিকে নজর দেয়া হয়নি, সেইসব মানুষকে তিনি এই অর্থ দিতে চেয়েছেন।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। তিনি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, বর্ণবাদ বিষয়ক অসমতা, আর্টস এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন ১৮৬টি সংগঠনকে তিনি বাছাই করেছেন। তাদেরকে এই অর্থ দেয়া হবে।

বিশ্বে সবচেয়ে ধনী নারীদের অন্যতম এখন মিস স্কট। এই অর্ধের বেশির ভাগই এসেছে ২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছেদ থেকে। কারণ, জেফ বেজোস বিশ্বে শ্রেষ্ঠ ধনী। তার অর্জিত সম্পদ বিচ্ছেদের সময় ভাগাভাগি হয়েছে দু’জনের মধ্যে। ন্যায্য পাওনা বুঝে পেয়ে মিস স্কটও এখন বিশ্বে প্রভাবশালী এবং ধনী নারীদের অন্যতম। বিচ্ছেদের চুক্তি অনুযায়ী, অ্যামাজনের শতকরা ৪ ভাগ শেয়ার পাবেন মিস স্কট। কারণ, তিনি ১৯৯৪ সালে প্রযুক্তি বিষয়ক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন প্রতিষ্ঠায় জেফ বেজোসকে সাহায্য করেছিলেন। বিচ্ছেদের সময় থেকেই ম্যাকেঞ্জি স্কট তার অর্থ দাতব্য সংস্থাগুলোতে দান করে দেয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করে আসছেন। ডিসেম্বরে তিনি জানান যে, মাত্র চার মাসের মধ্যে তিনি কমপক্ষে ৪০০ কোটি ডলার দান করেছেন নারীদের নেতৃত্বাধীন দাতব্য সংস্থা, ফুড ব্যাংক এবং কৃষ্ণাঙ্গদের কলেজে।

এত বেশি অর্থ দান করে দেয়া সত্ত্বেও তিনি এখনও বিশ্বের ২২তম ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ ৫৯৫০ কোটি ডলার। এ তথ্য ফোরবিস ম্যাগাজিনের। মঙ্গলবার তার সর্বশেষ ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, নিজের সম্পদ তিনি ভাগ বাটোয়ারা করে দিতে চান। গবেষকদের সঙ্গে এবং নতুন স্বামী বিজ্ঞানের শিক্ষক ড্যান জিউইটের সঙ্গে কাজ করছেন। কাজ করছেন এ জন্য যে, কাকে এই অর্থ দান করা যায় তা নিয়ে। ২০১৯ সালে তিনি ‘গিভিং প্লেজ’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে অর্জিত সম্পদের বেশির ভাগই দান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ম্যাকেঞ্জি স্কট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৬ জুন, ২০২১)