আপিলেও টিকলো না পাপুলের এমপি পদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মানব ও অর্থ পাচারের ঘটনায় কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল করে জারি করা গেজেট ও উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে ফের আপিল করা হয়। সেই আপিলেও খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ ও নো অর্ডার দেয়।
এর আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সে বিষয়ে নো অর্ডার দিয়েছে আপিল বিভাগ। এতে আগামী ২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। অন্যদিকে বিএনপি নেতার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ৮ জুন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ পাপুলের পক্ষে করা রিট খারিজ করে দেয়।
অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান একটি গেজেট জারি করেন।
ওই গেজেটে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সে কারণে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।
এরপর গত ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন ওই আসনে উপনির্বাচনের জন্য ১১ এপ্রিল দিন ঠিক করে তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে পরে ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়।
এটি চ্যালেঞ্জ করে পাপুলের বোন নুরুন্নাহার বেগম ও তার নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ জুন, ২০২১)