বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশে সাংবাদিকদের বাধা
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : দুই দিন ধরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কার্যালয়ের গেটে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যম কর্মীদেরকেও কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রকারী সদস্যরা। এমন অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায় বিএনপি কার্যালয়ের মূল গেটের দুই পাশে চারজন সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য অবস্থান করছেন। সাংবাদিকদেরকে কার্যালয়ের আশপাশে আসতে দেখলেই প্রশ্ন করছেন তারা। পরিচয়পত্র না থাকলে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
নিউএইজের রিপোর্টার এম এইচ মাসউদ দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘আমাকে গেটে সাদা পোশাকদারী গোয়েন্দা সদস্য কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলেও আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং কার্ড না দেখালে গ্রেফতারের হুমকিও দেয়।’
একই ঘটনা ঘটে রেডিও টুডের সাংবাদিক জুনায়েদ আহমেদের সঙ্গেও। এছাড়া দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এম উমর ফারুক একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহের কাজে কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে বাধা দেয়া হয়।’
এদিকে মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার কাজী সুমনকে পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এর আগে রবিবার দ্যা ডেইলি স্টারের সাংবাদিক প্রবির, আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোটার মামুন স্টালিনকে বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
গেটে অবস্থান নেয়া গোয়েন্দা সদস্যদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তারা বলেন, ‘সাংবাদিক কিনা আগে নিশ্চিত হতে হবে। তারপর ভিতরে ঢুকতে দেয়া হবে।’
কার্যালয়ে প্রবেশ পথে বাধা দেয়ার ব্যাপারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে আইনবহির্ভূতভাবে কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়ার কোনো অধিকার পুলিশের নেই। সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী কায়দায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কোনো নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে এটা আপনারাই দেখছেন। এটি কোনো গণতান্ত্রিক দেশের আচরণ হতে পারে না। হাসিনা-র্মাকা গণতন্ত্রের কারণেই এমনটা হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধাদান দুঃখজনক।’ দুই তিনদিনের মধ্যে কোনো নেতাকর্মী কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতাল আহ্বান করে বিরোধী জোট।
এর পরপরই সরকার বিরোধী দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে। অবরুদ্ধ করা হয় বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়, ঘেরাও করে রাখা হয় গুলাশানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ও রাজনৈতিক কার্যালয়। শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হরতাল ৮৪ ঘন্টা করা হয়।
(দিরিপোর্ট২৪/এমএইচ/এমসি/এমডি/নভেম্বর ১১, ২০১৩)