যে কারণে বাবা-মা-বোনকে খুন করেছে মেহজাবিন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অবৈধ কাজে বাধ্য করার ক্ষোভ থেকে রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকায় স্বামী-স্ত্রী ও বোনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেহজাবিন।
ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জানান,তিনজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মেহজাবিন ইসলাম মুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন। রোববার (২০ জুন) তিনি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।
এর আগে এদিনে সকালে মেহজাবিন ইসলাম মুনের নামে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মেহজাবিন নিহত দম্পতির বড় মেয়ে।
শনিবার (১৯ জুন) রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুরের একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও বোনসহ একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে ওই বাসা থেকে তাদের জামাই ও তার মেয়ে চার বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শুক্রবার (১৯ জুন) দিনগত রাতে মেহজাবিন নামের এক নারী তার বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী (৪৫) ও বোন জান্নাতুলকে (২০) হত্যা করেন। হত্যার শিকার প্রত্যেকের গলায় দাগ ছিল। পুলিশের ধারণা, প্রথমে ঘুমের ওষুধ বা নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর পর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, শুক্রবার দিবাগত রাতে হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে মেহেজাবিন বলেন, ‘আমি আমার বাবা-মা এবং বোনকে খুন করছি। আমার স্বামী ও মেয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। তাদেরও খুন করতে পারি। নিজকেও খুন করে ফেলতে পারি। আপনারা তাড়াতাড়ি আসেন। আমাকে ধরেন।’
উল্লেখ্য, গত তিন দিন আগে স্বামী শফিকুল ইসলাম ও সন্তান মার্জান তাবাসসুমকে নিয়ে রাজধানীর কদমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী মেহজাবিন মুন। গিয়েই তার ছোট বোন ২০ বছর বয়সী জান্নাতুলের সঙ্গে নিজ স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মেহজাবিনের। সেই জের ধরেই তিনি বাবা-মা, ছোট বোনকে নারকীয়ভাবে হত্যা শেষে ৯৯৯ এ কল দিয়ে নিজেই হত্যা করার কথা জানান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০ জুন, ২০২১)