দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলমান লকডাউন ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারাদেশে ১৪ দিনের জন্য শাটডাউনের পরামর্শ দিয়েছে। এই শাটডাউনের আশঙ্কায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ।

আজ শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল থেকে এ নৌরুটে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে।

এ সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে এখন ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ফেরিতে শুধু রোগী বহনকারী গাড়ি এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি ছাড়া সবকিছু পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাত্রীদের ঘাটে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন বলেন, শিমুলীয়া নৌরুটে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় শুক্রবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দুই শতাদিক গাড়ি পার করা হয়েছে। এছাড়াও শতাদিক বড় গাড়ি অপেক্ষায় আছে।

মুন্সিগঞ্জ সদরের ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, জেলায় চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। শহরের মধ্যে যানবাহন চলাচলে দেয়া হচ্ছে বাধা। এ ছাড়াও জব্দ করা হয়েছে কিছু অটোরিকশা। প্রথম দিন থেকে বন্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের লঞ্চ চলাচল।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনাসংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ যৌক্তিক। কঠোর বিধিনিষেধের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। যেকোনো সময় তা ঘোষণা করা হবে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলমান। সম্প্রতি ঢাকার চারপাশের সাত জেলাতেও চলছে লকডাউন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৫ জুন, ২০২১)