দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিস্ফোরক পরিদফতরের এনার্জি অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্সেস বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, শুধু গ্যাস লিকেজ কিংবা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এতো ক্ষয়ক্ষতি হয় না। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে এটা আলাদা। এতো বড় বিস্ফোরণের কারণ কী সেটা নিয়ে আমরাও দুশ্চিন্তায় আছি। এর পেছনে আরও কোনো কারণ থাকতে পারে। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মগবাজারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের তিনজন পরিদর্শক পরিদর্শন করে গেছেন। আজ আমরা গ্যাস ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের অস্তিত্ব পেয়েছি, যা প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থাৎ সরকারিভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

বিস্ফোরক পরিদফতর থেকে আমরা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে বিস্ফোরক পরিদফতর। অনেকে অনেক ধরনের ধারণা ও মত পোষণ করছেন। আমরা অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে সুস্পষ্ট কারণ বলতে পারবো।

লিকেজ বলতে কী অনুমান করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরক এককভাবে এমনি এমনি হয় না। আশপাশে যদি আগুন থাকে, সিগারেট বা কোনো স্পার্ক থেকে হতে পারে। ইলেকট্রিক্যাল এক্সপ্লোরেশন হতে পারে, গ্যাস লাইনে লিকেজ বা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে।’

উল্লেখ্য, রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো-রুম লাগোয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ১৭ জন‌কে শেখ হা‌সিনা বার্ন অ্যান্ড প্লা‌স্টিক সার্জা‌রি ইন‌স্টি‌টিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৮ জুন, ২০২১)