দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পরিবহন ও আবাসন ফি প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতা এবং চাহিদা বিবেচনায় এসব ফি মওকুফ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যারা এসব ফি পরিশোধ করেছে পরবর্তীতে তা সমন্বয় করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে মার্চ ২০২০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও চাহিদা বিবেচনা করে মার্চ ২০২০ থেকে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ফি এবং সংশ্লিষ্টদের আবাসিক ফি মওকুফ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা ওই ফি পরিশোধ করেছেন তা সমন্বয় করা হবে।

এর আগে গত ২৪ জুন সিনেট বাজেট অধিবেশনে আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফের প্রস্তাব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন।

সিনেটে বাজেট আলোচনায় তারা বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, হলের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ বেচে গেছে। সেহেতু গত এক বছরের শিক্ষার্থীদের আবাসন ফি এবং একই সঙ্গে পরিবহন ফি নেওয়া যৌক্তিক নয়। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় সেবা গ্রহণ না করেও আবাসন ফি, পরিবহন ফি দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই এই দুই বছরের জন্য ফি-গুলো যেন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়।

ফি মওকুফের বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা এটি নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছি ও সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। উপাচার্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে জোরালো বক্তব্য রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই তাদের ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক উপলব্ধির জন্য। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে প্রশাসনের যেকোনো সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের বাস্তবতার বিষয়টি যেন মাথায় রাখা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০১ জুলাই, ২০২১)