দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলা ও মাদকের মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার রাত ৮টার দিকে মুক্তি পান তিনি।

বৃহস্পতিবার নাসিরের আইনজীবী আমানুল করিম লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুই মামলায় দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর মুক্ত হলেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

তার আইনজীবী লিটন বলেন, ‘রাত ৮টার সময় কারাগার থেকে বের হন নাসির উদ্দিন। এ সময় তার ভাইসহ আত্মীয়রা কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন।

‌‘বর্তমানে তিনি তার উত্তরার বাসাতেই আছেন। আর শারীরিকভাবে সুস্থই আছেন।’

গত ১৪ জুন দুপুরে সাভার থানায় নাসির উদ্দিন ও অমির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন পরীমনি। মামলার পর অভিযানে নামে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ওই দিনই নাসির, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দের কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেদিন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায় নাসির ও অমির সাত দিন এবং ওই তিন নারীকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।

রিমান্ড শেষ হলে নাসির উদ্দিন ও অমিকে গত ২৩ জুন পরীমনির মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।

গত মঙ্গলবার নাসির উদ্দিন ও অমিকে পরীমনির মামলায় জামিন দেন আদালত। আর বুধবার মাদক মামলায় জামিন পান নাসির উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা ছিল না।

এদিকে নাসির উদ্দিন কারামুক্ত হতে পারলেও অমি পারছেন না। কারণ বিমানবন্দর থানার মাদক মামলা, দক্ষিণখান থানার মানবপাচার ও পাসপোর্ট আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে অমিকে। কারামুক্ত হতে হলে তাকে তিন মামলায় জামিন পেতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০১ জুলাই, ২০২১)