দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের করা ৪৬৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ২৭৬ রানে শেষ তাদের ইনিংস। বাংলাদেশ পেল ১৯২ রানের লিড। বল হাতে বাংলাদেশের সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ উইকেট  পেয়েছেন ডানহাতি অফস্পিনার। সাকিবের পকেটে গেছে ৪ উইকেট। ১টি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। দিনের খেলার এখনও ১৮ ওভার বাকি আছে।

স্কোর: জিম্বাবুয়ে ২৭৬/১০
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৬৮/১০


১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ছন্নছড়া জিম্বাবুয়ে

জিম্বাবুয়ের দলের রান তখন ২৬১। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা কাইতানোর রান ৮৭। ঠিক ওই মুহূর্তে ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক হয়ে ব্যাটিং করা কাইতানো মনোযোগ হারালেন। মিরাজ পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। পরের গল্পটা পুরোপুরি বাংলাদেশের। ১৫ রান যোগ করতেই শেষ স্বাগতিকদের শেষ ৫ উইকেট। এ সময়ে মিরাজ একই নিলেন ৪ উইকেট। সাকিবের পকেটে গেছে ১ উইকেট। সব মিলিয়ে মিরাজ ৮২ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। সাকিব একই রানে পেয়েছেন ৪টি।

মিরাজের ৫ উইকেট, এলোমেলো জিম্বাবুয়ে


ধারাবাহিক বোলিংয়ে আরো তিনটি সাফল্য যুক্ত হলো মিরাজের নামের পাশে। ডোনাল্ড টিরিপানোকে এলবিডব্লিউতে বধ করার পর ভিক্টর নিয়াউচিকে বোল্ড করেন ডানহাতি অফস্পিনার। এরপর মুজারাবানি তার লাইন মিস করে বোল্ড হন। ১৯ বলে মিরাজের বলে ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং এলোমেলো করে দিচ্ছেন মিরাজ। ক্যারিয়ারে অষ্টম ৫ উইকেট পেলেন তরুণ এ ক্রিকেটার।

‘পথের কাঁটা’ কাইতানোকে ফেরালেন মিরাজ

জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান কাইতানো। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর সেঞ্চুরির পথে ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৩ রানের আক্ষেপে পুড়লেন।

মিরাজের লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ৮৭ রানে। জিম্বাবুয়ের দুই ক্রিকেটার এর আগে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ডেভ হুগটন ১২১, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১১৯ রান করেছিলেন। কাইতানোর সেই সুযোগটি ছিল। কিন্তু মনোযোগ হারিয়ে সুযোগ হারালেন তিনি। ৩১১ বলে ৯ চারে ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মিরাজ পেলেন দ্বিতীয় উইকেট।

দ্বিতীয় সেশন: ২৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে

হারারেতে ব্যাট-বলের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জমে উঠেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের একমাত্র টেস্ট। তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে ছিল স্বাগতিকদের দাপট। অনায়েসে রান তুলে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন তারা। দ্বিতীয় সেশন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২৯ ওভারে জিম্বাবুয়ে এ সময়ে মাত্র ৩৫ রান তুলেছে। হারিয়েছে ৩ উইকেট। বাংলাদেশ ১১ ওভার করেছে মেডেন। ফলো অন এড়াতে স্বাগতিকদের এখনও করতে হবে ২৫ রান।

১০ ওভার-১৩ রান-৫ মেডেন-২ উইকেট

নতুন বল নেওয়ার পর পাল্টে গেল বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে রান আটকে রাখলেন বোলাররা। তাতে মিলল ২ উইকেট। ১০ ওভারে বাংলাদেশ খরচ করেছে মাত্র ১৩ রান। কোনো বাউন্ডারি আসেনি। ৫টিই ছিল মেডেন ওভার। সাকিব ও তাসকিন পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

তাসকিন গতিতে ঝড় তুলছেন। সুযোগ তৈরি করছেন। বারবার অফস্টাম্পের বাইরে বল দিয়ে ব্যাটসম্যানকে খেলার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। মাঝে মাঝে বল ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টাও করছেন। তাতে সফলও হয়েছেন। রয় কাইয়াকে ভেতরে ঢোকনো বলে বাউন্স দিয়ে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করিয়েছেন। সাকিবের বোলিংয়ে আছে বৈচিত্র্য। তাতে ব্যাটসম্যানরাও বিভ্রান্ত হচ্ছে। ঝুঁকি না নিয়ে দেখেশুনে খেলছেন রেগিস চাকাবা ও কাইতানো।

দুর্দান্ত সাকিব, তাসকিনও পেলেন উইকেট

অতি দ্রুত বাংলাদেশ পেল দুই উইকেট। সাকিব ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট পেয়েছেন টিরিপানো মারুমাকে ফিরিয়ে। তাসকিন উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান রয় কাইয়াকে। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটসম্যানই রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়েছেন।

নতুন বল নিয়েছে বাংলাদেশ

৮২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নতুন বল নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে পুরোনো বলে ১.১ ওভার বাড়তি বল করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের হাত ধরে দ্বিতীয় নতুন বলের যাত্রা শুরু হলো।

ফিরেই সাকিবের উইকেট

জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙলেন সাকিব। ফেরালেন ডিনো মায়ার্সকে। সাকিবের লেগ স্টাম্পের ওপরের বল বসে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন মায়ার্স। সীমানার কাছে মিরাজের সহজ ক্যাচে পরিণত হন ২৭ রান করা মায়ার্স। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্রুতই বাংলাদেশ পেল সাফল্য। সাকিবের এটি দ্বিতীয় উইকেট।

সকালের সেশন জিম্বাবুয়ের, বাংলাদেশের সাফল্য টেইলের উইকেট

মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে ৯৫ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। তাতে সেশনটি নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। তবে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশও রয়েছে কিছুটা স্বস্তিতে। জিম্বাবুয়ে এখনও পিছিয়ে ২৫৯ রানে।

টেইলরের উইকেট উপহার, বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাফল্য

বাংলাদেশকে ভয় দেখানো ব্রেন্ডন টেইলরকে ফিরিয়ে অতিথি শিবিরি স্বস্তি ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি অফস্পিনারের বল স্লগ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন অতিরিক্ত ফিল্ডার ইয়াসির আলী চৌধুরীর হাতে। প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসটির শেষ হয় বাজে এক শটে।

শুক্রবার তৃতীয় দিন সকালে হাত খুলে খেলেছেন টেইলর। দ্রুত রান তুলেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। স্পিন ও পেস বোলারদের বিপক্ষে ব্যাটিং ছিল সাবলীল। বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে দারুণ জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসলেন ৮১ রানে। ৯২ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।

অভিষেকে কাইতানোর ফিফটি

ষষ্ঠ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে ফিফটি তুলে নিলেন কাইতানো। ডানহাতি ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটের আমেজে ব্যাটিং করছেন ২২ গজে। বাজে বল শাসন করছেন। ভালো বল সমীহ করে খেলছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে পৌঁছতে খেলেছেন ১৫৯ বল। যেখানে বাউন্ডারি ছিল ৬টি।

টেইরের ঝড়ো ফিফটি

শেন উলিয়ামস ছিটকে যাওয়ার পর হুট করে ব্রেন্ডর টেইলরের ওপর আসে দলের নেতৃত্ব ভার। সেটা খুব ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন ব্যাট হাতে। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন; খেলতে থাকেন হাত খুলে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই। শর্ট মিড অফে সাকিব আল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মাত্র ৬০ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। এটি তার ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি।

সুযোগ তৈরি করতে পারছেন না সাকিবরা

অতিথি বাংলাদেশ উইকেটের খোঁজে। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও সুযোগ তৈরি করতে পারছেন না তারা। দুই পেসার তাসকিন ও ইবাদত আঁটসাঁট বোলিং করছেন। পরবর্তীতে আসবেন সাকিব ও মিরাজ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৯ জুলাই, ২০২১)