দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: তালেবান জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানের ৮৫ ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছে, গ্রুপটি প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

যদিও স্থানীয় আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, নেটো বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই চলে যেতেই হেরাত প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলার দখল নিয়েছে তালেবানরা। ওই জেলায় হাজার হাজার শিয়া সংখ্যালঘু হাজারাদের বাস বলে জানিয়েছে তারা।

আফগান এবং তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তুর্কেমেনিস্তানের সঙ্গে লাগোয়া উত্তরাঞ্চলীয় শহর তোরঘুন্দিও দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।

প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধের পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নেটো বাহিনীর বিদেশি সৈন্যরা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে। এরপরই একে একে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল নিজেদের দখলে নিতে শুরু করে তালেবানরা।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারেক আরিয়ান বলেছেন, তালেবানরা নতুন করে যেসব অঞ্চল দখল করেছে, সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

আফগান সরকার বলছে, তালেবানরা যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেগুলোর কৌশলগত তেমন কোনও মূল্য নেই। কিন্তু তালেবানরা এখন সীমান্ত ক্রসিং দখল করছে। এগুলোর মধ্যে খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চলও রয়েছে।

গত এক সপ্তাহে অন্তত ৫টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত দখল করেছে তালেবান। এগুলো হচ্ছে- ইরান, তাজিকিস্তান, চীন, তুর্কেমেনিস্তান ও পাকিস্তান।

এদিকে তালেবানদের এমন জয়রথ দেখে হাজার হাজার আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং শরণার্থী প্রতিবেশী দেশ ইরান এবং তাজিকিস্তানে পালিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যেও।

মধ্যাঞ্চলীয় এশিয়ার এই দেশগুলোর আশঙ্কা তালেবানরা এখন এসব দেশে ঢুকে যেতে পারে। তবে শুক্রবার মস্কো সফররত তালেবানের তিন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে রাশিয়াকে আশ্বস্ত করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১০ জুলাই, ২০২১)