বিধিনিষেধ শিথিলের সময়ে জমে উঠেছে কেনাকাটা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিধিনিষেধ শিথিলের আটদিনেই পরবর্তী কঠিন সময়ের রসদ যোগানোর চেষ্টায় রাজধানীর দোকানীরা। প্রথম দু'দিনের ক্রেতা উপস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তিতে তারা। এদিকে, প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন নগরবাসী।
রাজধানীর নিউমার্কেটে অন্য সময়ে ছুটির দিন কিংবা ঈদের আগের উপচেপড়া ভিড় নেই। তুলনামূলক কম ক্রেতা সংখ্যা।
কঠোর বিধিনিষেধে দোকান বন্ধ থাকায় কঠিন দিন পার করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মফিজউদ্দিন। সামনের দিনগুলো সামলে উঠতে পারবেন কিনা সেই উদ্বিগ্নতা চোখে-মুখে।
তিনি জানান, যাই বিক্রি হয় হয়তো বাড়ি যাওয়ার গাড়িভাড়া হতে পারে। বা চলার মত আয় হতে পারে। লাভ না হলেও বিক্রি করে হলেও যেতে হবে। সামনে আরো বাড়বে বলছে। কষ্ট তো অনেক করলাম।
চিন্তিত অন্য দোকানিরাও। তবে, ঈদের এই সময়ে বেচাকেনা ভাল হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
এক বিক্রেতা বলেন, ঈদের কেনাকাটার ব্যাপারে ক্রেতারা বেশ উৎসাহ পাচ্ছেন। মার্কেট ৫ দিনের খুলেছে আলহামদুলিল্লাহ।
আরো এক বিক্রেতা বলেন, মানুষ আসেনা, বিক্রিও করতে পারিনা। এই ৮ দিনে তো পোষানো যাবে না।
নিজেদের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য ঈদের পোশাক কিনছেন অভিভাবকরা। তবে, সংক্রমণের ভয়ে কেনাকাটার উচ্ছ্বাস নেই অনেকের মাঝে। এক ক্রেতা জানান, ঈদের শপিং যেটা সেটা না, কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে আসলাম।
আরো এক ক্রেতা বলেন, বাচ্চার জন্য একটা প্যান্ট ও টি-শার্ট নিলাম। বেশি না অল্প কিছু কিনেই চলে যাবো।
এক নারী বলেন, দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখছিনা।
স্বাস্থ্যবিধির যেসব শর্ত মেনে খোলা হয়েছে মার্কেট-শপিংমল, তা অনেকাংশেই উপেক্ষিত দোকানে দোকানে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬ জুলাই, ২০২১)