গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির নেয়া টাকার হদিস নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইভ্যালি মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তার মোট অঙ্ক প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি।কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে সেই টাকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে। তদন্ত শেষে গ্রাহকদের ও সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে নেয়া টাকার খুব সামান্য অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেজন্যই প্রশ্ন উঠেছে, এই বিশাল দায় কীভাবে তারা শোধ করবে?’
ইভ্যালি এর মধ্যে যে পরিমাণ টাকা গ্রাহক ও ব্যবসায়িক পার্টনারদের কাছ থেকে নিয়েছে, তা ফেরৎ পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ফান্ড কোথায় রেখেছে, অন্য কোনো উৎস আছে কিনা সেটা তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এখন সেই পরিমাণ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।’
গত জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইভ্যালি আইন ভঙ্গ করেছে। এর পর জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত দল ইভ্যালির কার্যক্রমের কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরদিনই বেশ কয়েকটি ব্যাংক ইভ্যালিসহ আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন বাতিল করে।
অপরদিকে গ্রাহকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ইভ্যালির সাথে যোগাযোগ করে কোন সাড়া মিলছে না এবং তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ পাচ্ছেন। তবে ইভ্যালির মুখপাত্র শবনম ফারিয়া জানান, তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস এখনও ২৪ ঘণ্টা চালু আছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ জুলাই, ২০২১)