দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঈদের আগের দিনও শিমুলিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘুরমুখো মানুষের উপচেপড়া ঢল। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারও মানুষ ভিড় করছে শিমুলিয়া ঘাটে। শৃংখলা রক্ষায় আইন শৃংখলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকলেও যাত্রী চাপে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ফলে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।

এদিকে, মঙ্গলবার পদ্মায় তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারে বেশি সময় আর ঘাটে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতশত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও কয়েক কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫ ফেরি ও ৮৪ লঞ্চ সচল রয়েছে।

শরিয়তপুরগামী এক যাত্রী জানান, বছরে একটা দিন পরিবারের সাথে না কাটাতে পারলে বছর ভরে এতো পরিশ্রম, এত কষ্ট করে কি লাভ। বাড়িতে যাইতাছি সবার সাথে ঈদ করবো।

ঝালকাঠিগামী এক যাত্রী বলেন, পোষাক কারখানার ম্যানেজার হিসাবে কাজ করি৷ গতকাল থেকে ছুটি হয়েছে। এরপরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে বাড়ি যাচ্ছি। কোরবানির গরু এখনো কেনা হয়নি। সকাল সকাল তাই রওনা দিয়েছি বাড়ি গিয়ে গরু কিনতে হবে। আরেক যাত্রী বলেন, বৃষ্টিতে চলাচল একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তাতে কি। বাড়ি ফিরতে হবে। বাড়ি ফেরাতাই আসল ঈদ।

বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানায়, বরাবরই ঈদের আগে শেষ দুদিনে যাত্রীদের চাপ পরে। ৮৪ লঞ্চ দিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া মাজিরকান্দি রুটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নদীতে ১৫ ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে সাত শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষা। লঞ্চে যাত্রী চাপ বাড়ায় অনেক যাত্রী ফেরিতে আসছে। এতে ফেরিতেও যাত্রী চাপ আছে।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও লঞ্চে নির্ধারিত যাত্রী ধারণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শৃংখলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে৷ পুরো ঘাটজুড়ে বিভিন্ন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০জুলাই, ২০২১)