দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে আছে শতাধিক পরিবহন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু এর কোন প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ঢাকামুখী গাড়ির চাপে ঘাটে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক যাত্রীবাহী বাস এবং পাঁচ শতাধিক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯টায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।
বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ও ঘাটে নিয়োজিত পুলিশ জানায়, আটকেপরা গাড়ি ও জরুরি গাড়ি পার করে ঘাট ক্লিয়ার করা হচ্ছে। এ সুযোগে ফেরিতে শত শত যাত্রীও পার হচ্ছে।
ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চালকদের কেউ কেউ দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফেরির নাগাল পেলেও বিধিনিষেধের কারণে ঢাকা থেকে ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকারের চালক রাশেদুল আলম বেলাল বলেন, তিনি কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ভেবেছিলেন রাতের মধ্যেই যাত্রী ঢাকায় পৌঁছে দিয়ে আবার কুষ্টিয়ায় ফিরতে পারবেন। কিন্তু, ঘাটে গাড়ির চাপ থাকায় রাত ১ টার দিকে ঘাট থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে যানজটে আটকে পড়েন। এখনো ফেরিতে উঠতে হয়তো ঘন্টাখানেক সময় লাগবে। এদিকে ভোর থেকে লকডাউন শুরু হয়ে গেছে। ঢাকায় যাত্রী নামিয়ে কুষ্টিয়ায় ফিরতে পারবেন কি না এখন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
তার মতো আরও অনেক গাড়িচালকই এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছে দাবি করে ওই গাড়িচালক বলেন, প্রশাসন যেনো তাদের ঢাকা থেকে নির্বিঘ্নে ফেরার ব্যবস্থাটুকু করে দেয়।
অন্যদিকে, যাত্রবাহী পরিবহনের চালক মো. সুমন জানান, ঝালকাঠি থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এসে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে পড়েন। এখনো পর্যন্ত নদী পার হতে পারেননি। কখন পার হতে পারবেন তাও জানেন না। যাত্রীরা গাড়ির মধ্যে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গাড়ির সিরিয়াল রক্ষা করার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজা দেবদাস বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষমান গাড়ির চাপ রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘাট এলাকায় লকডাউন কার্যকর করার বা গাড়ি আটকে দেওয়ার কোন নির্দেশনা পাননি। যে কারণে সিরিয়াল মোতাবেক গাড়িগুলো ফেরিতে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকায় বিধিনিষেধের মধ্যেও ফেরি বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩জুলাই, ২০২১)