রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: এডিবি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে চলছে মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ। এর মধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। রপ্তানি ও রেমিটেন্সের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের অর্থনীতির এই উত্তরণ বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এডিবি জুলাই মাসে তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সাপ্লিমেন্টে এই কথা জানিয়েছে।
এশিয়ার অর্থনীতির ওপর সম্পূরক পূর্বাভাসে এডিবি বলেছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
সম্পূরক পূর্বাভাসে এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণ মূলত ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস। সম্পূরক পূর্বাভাসে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এপ্রিলের মতো রাখা হয়েছে।
এপ্রিল মাসের সম্পূরক পূর্বাভাসে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হারের আভাস দেয়া হয়েছে। তবে গত ২৬ এপ্রিল যখন প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছিল তখন বাংলাদেশে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছিলেন, এ হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ হতে পারে।
গত জুনে এডিবি জানিয়েছিল, ২০২১ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৬ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
এডিবি শুক্রবার বলেছে, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং রেমিটেন্স বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব ১২ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্পূরক পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের প্রভাবে ২০২১ সালে অপেক্ষাকৃত কম ৮ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতে ২০২১ সালের প্রবৃদ্ধি গত এপ্রিলে ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে এবং ২০২২ সালে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে।
উন্নয়নশীল এশিয়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে, চলতি বছরের প্রবৃদ্ধির অনুমান এপ্রিলে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২১-এ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কিছুটা কমিয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। অন্যদিকে, ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধি হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে, যা আগের অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। গত অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও মহামারির বাস্তবতায় পরে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪জুলাই, ২০২১)