বাংলাবাজার ঘাটে বাড়ছে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সারাদেশে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বাংলাবাজার প্রান্ত থেকে নৌ রুটে যাত্রী ও যানবাহন আসছে শিমুলিয়া প্রান্তে। ফেরি থেকে নেমেই তারা বিভিন্নভাবে চলে যাচ্ছেন গন্তব্যে।
আজ রোববার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট বেশ ফাঁকা দেখা গেলেও বাংলাবাজার ঘাট থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা আসা শুরু করলে ভিড় বেড়ে যায়।
রোববার (২৫ জুলাই) ঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিধিনিষেধে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে আটটি ফেরি চলছে। ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেশি। ফলে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন তারা। মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি কারও মধ্যে। ঘাটে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যাত্রীরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ঘাটে আসছেন।
একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছাচ্ছেন। পদ্মায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। এতে স্রোতের গতি বাড়ায় ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময় ও অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী আল লতিফ মিয়া বলেন, ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। এখন ঢাকা যাচ্ছি। বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে ১ হাজার ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। এখন ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি। জানি না আরও কত টাকা ভাড়া গুনতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলমুখী কোনও যান ও যাত্রী নেই। তবে, বাংলাবাজার ঘাট থেকে যান ও যাত্রী নিয়ে ফেরি চলছে। নৌ রুটে ছয়টি ফেরি চলছে বলে জানান তিনি।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, আমাদের শিমুলিয়া প্রান্তে যাত্রী কিংবা যানবাহনের চাপ নেই। তবে বাংলাবাজার থেকে আসা ফেরিগুলোতে যাত্রী ও ছোট বড় যানবাহন রয়েছে চোখে পড়ার মতো। ফেরি থেকে নেমেই রাজধানীমুখী যাত্রীরা বিভিন্ন মাধ্যমে স্ব স্ব গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। আর স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই শিমুলিয়া ঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫জুলাই, ২০২১)