জয়ের জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করলেন মা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পাবলিক সার্ভিস কমিশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২০, ২০২১ উপলক্ষ্যে আজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন এবং গণভবন থেকে বিশেষ ভাষণের মাধ্যমে দেশের জনগণের সেবায় যারা নিয়োজিত আছেন, তাদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ২৩ জুলাই এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হলেও এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে তা ২৭ জুলাই পালিত হচ্ছে। তবে এই ২৭ জুলাই তার জন্য খুবই বিশেষ একটি দিন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অবরুদ্ধ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। পুত্র এবং পিতাকে নিয়ে স্মৃতিচারণের সময় প্রধানমন্ত্রী কিছুটা আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস উপলক্ষ্যে বাড়িতে বাড়িতে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো হতো। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, আর যেন কোনো বাড়িতে পাকিস্তানের পতাকা না ওঠে। বাবার হাত ও পায়ের নখ কেটে দিতে খুব পছন্দ করতেন মুজিব তনয়া শেখ হাসিনা। পিতা একদিন মেয়েকে সস্নেহে কাছে ডেকে ভালো করে নখ কেটে দিতে বলেন। আর কবে এই সুযোগ সে পাবে, তা নিশ্চিত নয় বলেও সেদিন সঙ্কোচ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এরপরের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা আমরা সবাই জানি।
পিতা সেদিন কন্যাকে বলেছিলেন, তার গর্ভে ছেলেসন্তান আসছে। তার নাম যেন রাখা হয় জয়।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবার পর মুজিবতনয়া ধানমন্ডি ১৮ নম্বরের একতলা একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেখানে ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। না ছিল কোনো প্রাইভেসি কিংবা কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা।
প্রসববেদনা উঠলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সাথে মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে নিয়ে যেতে পারেননি এই সঙ্কটকালীন সময়ে। ঢাকা মেডিকেলে মুজিবতনার দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসর নুরুল ইসলাম, সুফিয়া খাতুন এবং মুহিত সাহেবের বোন শায়লা।
জয়ের জন্মের পর উক্ত স্থানে অবস্থান করছিলেন একজন পাকিস্তানি কর্ণেল। সে জিজ্ঞেস করেছিল নবজাতকের নাম কি রাখা হয়েছে। উত্তরে জয় বলা হলে সে প্রথমে মানে বুঝতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাকে আমি বললাম জয় মানে হচ্ছে বিজয়, ভিক্টোরি। স্বভাবতই পাকিস্তানি কর্নেল এহেন নামের খুশি হতে পারেননি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭জুলাই, ২০২১)