বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে শেয়ারবাজার। সম্ভাবনাময় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য শেয়ারবাজারে নিটা একাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।এই একাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগের অর্থ এবং লভ্যাংশ বিনা অনুমতিতে বিদেশে পাঠানো যাচ্ছে। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে।এছাড়া, বাংলাদেশ শেয়ার বাজার গত এক বছরে এশিয়ার সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।করোনাকালেও শেয়ারবাজারে দিন দিন টার্নওভার বাড়ছে, মার্কেট ক্যাপিটাল বাড়ছে, ইন্ডেক্স বাড়ছে’।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় শনিবার, ৩১ জুলাই ভোর সাড়ে ৬টা) ইন্টারকন্টিনেন্টাল লস অ্যাঞ্জেলস ডাউনটাউন হোটেলের উইলশায়ার গ্রান্ড বল রুমে শেয়ারবাজার বিষয়ক রোড শো’র তৃতীয় পর্বের শুরুতেবাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামএসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অপূর্বসুযোগরয়েছে।শুধু সেকেন্ডারী মার্কেটে নয়, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে নতুন নতুন পণ্য আসছে। বন্ড মার্কেট উন্নত হচ্ছে। বিশেষ করে ব্লু বন্ড, সুকুক বন্ড, পারপেচুয়াল বন্ড আছে শেয়ারবাজারে। তুলনামূলকভাবে এসব পণ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কোম্পানিগুলো বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সফলতা দেখিয়েছে। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড তো আছেই। মিউচুয়াল ফান্ড খাত দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। এসব কারণে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য সকল ব্যবস্থাই করে রেখেছে সরকার।দেশে ব্যবসা সহায়ক ১০০টি অর্থনৈতিক জোন রয়েছে। জ্বালানি, গ্যাস এবং অবকাঠামো সুবিধা দিচ্ছে সরকার।দিন দিন রিজার্ভে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ খুবই শক্তিশালী। বাংলাদেশে ব্যাংকের আমানতের সুদের হার কম। এ কারণে ব্যবসার উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে।
এসময় তিনি, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন - আমরা চাই আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আপনাদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার সক্ষমতাবাংলাদেশের আছে।
এসময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন , বাংলাদেশে পর্যটন একটি বড় ধরনের বিনিয়োগের আকর্ষনীয় খাতে পরিণত হয়েছে।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুমদ্র সৈকত বাংলাদেশেরকক্সবাজারে অবস্থিত।এছাড়া কুয়াকাটা, সিলেট, টাঙ্গুয়া হাওর, সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের মতো আকর্ষনীয় পর্যটন জোন রয়েছে বাংলাদেশে।এসব যায়গায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব।
স্টার্টআপ খাত বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুন প্রজন্ম স্টার্ট আপ কোম্পানি করছে। পাঠাও বাংলাদেশের একটি ছোট কোম্পানি হলেও সেটি মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। তরুণ প্রজন্ম নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে।
দ্য রিপোর্ট/এএস/৩১জুলাই ২০২১