দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (৩৭০ ধারা) রহিত করে মোদি সরকার ২০১৯ সালে প্রদেশটিকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে নামে দুটি নতুন ইউনিয়ন সরকার গঠন করার ঘোষণা দেয়। যেটি সরাসরি কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হবে। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে সমগ্র কাশ্মীরের পরিস্থিতি। প্রদেশটির জনগণ ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কেন্দ্র সরকারকে সেখানে আরো সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়।

তবে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে সেখানে কেন্দ্র শাসন পরিচালনা করার পেছনে মোদি সরকারের মূল যুক্তি ছিলো সেখানকার সামগ্রিক উন্নয়ন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ যোগসূত্রের সুযোগ তৈরি করা। যদিও এই দুই বছরের তার খুব কমই চোখে পড়েছে তাদের কাজে।

তবে ৩৭০ ধারা রহিতের ফলে প্রদেশটির সাথে সমগ্র ভারতের সাথে আরো শক্তিশালী যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এর প্রভাব পরতে শুরু করেছে প্রদেশটি কৃষি, ব্যবসা ও শিল্পখাতে। তবে করোনা মহামারীতে কাশ্মীরের উন্নয়নে বেশ বাধার তৈরি হয়েছে। এই দুই বছরের পুরোটা জুড়েই মহামারীতে অনেক মেগা প্রজেক্ট থমকে গেছে।

এরই মধ্যে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টস। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে সেখানে ৮৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত সরকার।

সেই সঙ্গে সেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিসিসি) নির্বাচনের প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে রাজনীতি চর্চার সুযোগ পাচ্ছে। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনার সুযোগের ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয়েছে।

সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। যোগাযোগ উন্নয়নে নতুন নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণসহ ৩.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ৫টি টানেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুব সমাজের উন্নয়নের খেলাধুলার প্রতিও বিশেষ নজর দিচ্ছে ভারত সরকার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩আগস্ট, ২০২১)