বাংলাদেশকে ১২২ রানের লক্ষ্য দিল অস্ট্রেলিয়া
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: টানা দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই টস ভাগ্য গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। তবে প্রথমটিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া ম্যাথু ওয়েড বুধবার টস জিতে নেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের।
শেখ মেহেদির বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারে সাবধানী ব্যাটিং করে মাত্র এক রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে অ্যালেক্স ক্যারি এবং জশ ফিলিপ জুটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নাসুম আহমেদের বিপক্ষে অনেকটাই সাবলীল ছিলেন ক্যারি।
সুইপ-রিভার্স সুইপে রান বের করার চেষ্টা করেছেন ক্যারি, সফলও হয়েছেন। বাঁহাতি এই ওপেনারের জোড়া বাউন্ডারি সহ দ্বিতীয় ওভারে আসে ১০ রান। কিন্তু তৃতীয় ওভারে এসে যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন ক্যারি।
স্পিনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া নাসুমের তালুবন্দি হন ক্যারি। ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন তিনি। আগের ম্যাচেও মেহেদির বলেই আউট হয়েছিলেন তিনি।
এরপর ফিলিপকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন এসেছেন মিচেল মার্শ। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে আরও ১৮ রান যোগ করলেও পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ঠিক ২ বল আগে মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ এক স্লোয়ারে লেগ স্টাম্প উড়ে যায় ফিলিপের। ১৪ বলে ১০ রান করেন এই ওপেনার।
পাওয়ার প্লে শেষে অজিরা স্কোরবোর্ডে যোগ করে ২ উইকেটে ৩২ রান। গত ম্যাচে যা ছিল ৩ উইকেটে ২৮ রান। ৬ ওভার শেষে মাহমুদউল্লাহ বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকারদের হাতে। সঙ্গে বোলিং চালিয়ে যান নাসুম আহমেদও।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের হাত খুলতে দেননি কোন বোলারই। পরের ৬ ওভারে ময়সেস হেনরিক্স এবং মিচেল মার্শ জুটি যোগ করে ৩৫ রান। ১২ ওভার শেষেও রান রেট ৬'র নিচে ছিল তাদের।
এই জুটিতে অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকলেও বাড়েনি রানের গতি। তবে তাদের ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। গত ম্যাচেও এই অজিকে ফিরিয়েছিলেন তিনি। ২৫ বলে ৩০ রান করে ময়সেস ফেরার খানিক পর শরিফুলকে উইকেট ছুঁড়ে দেন মিচেল মার্শ।
৪৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান। গত ম্যাচেও তিনি ৪৫ করেছিলেন। ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানো অজিদের টেনে নিতে পারেননি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও। দলীয় ১০৩ রানের সময় মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হন তিনি।
স্টাম্প ছেঁড়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজকে লেগ সাইডে খেলতে গেলে বল মিস করেন। উড়ে যায় লেগ স্টাম্প। এরপরের বলেই অ্যাস্টন অ্যাগারকে স্লোয়ার বাউন্সারে বিদায় করেন তিনি। আশা যাগে হ্যাটট্রিকের। কিন্তু সেই বলটি স্লোয়ার ছাড়তে গিয়ে ওয়াইড দিয়ে বসেন তিনি।
১৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ১০৫ রান। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লোয়ার ডেলিভারিতে অ্যাস্টন টার্নারকে বিদায় করেন শরিফুল। সেই ওভারে আসে মাত্র ৫ রান।
শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ বল তুলে দেন মুস্তাফিজকেই। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পাননি তিনি। রান দিয়েছেন ১১। অস্ট্রেলিয়া পায় ১২১ রানের পুঁজি।
অস্ট্রেলিয়া: ১২১/৭ (২০ ওভার) (মার্শ ৪৫, ময়সেস ৩০) (মুস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭)
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪আগস্ট, ২০২১)