দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নায়িকা পরীমণির মামলা তদন্তে নেমে পরীর সঙ্গেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) কর্মরত এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি’র সকল কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ডিবির দায়িত্বে থাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যেহেতু একটা অভিযোগ উঠেছে তাই তাকে আমরা সরিয়ে নিচ্ছি। বিষয়টি এখনো তদন্তনাধীন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১আগস্ট রাত আটটার দিকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েন।

ওই দিনের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, রাত আটটার দিকে রাজারবাগের মধুমতি ভবনের সামনে থামে পরীমনির হ্যারিয়ার গাড়ি। ওই ভবনের ১০ তলায় সাকলায়েনের সরকারি বাসভবন। সাকলায়েন নিজে নেমে এসে রিসিভ করেন পরীমনিকে।

এর কিছুক্ষণ পর সাকলায়েনের বাসায় প্রবেশ করেন পরীমনির খালাতো বোন ও তার স্বামী। পরে রাত দুইটার দিকে পরীমনিসহ তিনজনই বের হয়ে যান বাসা থেকে।

পরীমনির সঙ্গে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সম্পর্ক তৈরি হয় গেল জুনে। জুনের ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি।

পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ওই সময় পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। এরপর সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।

পরীমনির সঙ্গে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সম্পর্ক তৈরি হয় গেল জুনে। জুনের ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি।

পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ওই সময় পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। এরপর সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র বলছে, পরীমনির সঙ্গে প্রায়ই রাতে বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত এডিসি সাকলায়েনকে। রাত গভীর হলে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হতেন তারা। কখনো হাতিরঝিল। কখনো অন্য কোনো জায়গায়। মাঝেমধ্যে পরীমনির বাসায়ও যেতেন সাকলায়েন। সর্বশেষ পরীমনি সাকলায়েনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শুক্রবার রাত ১১ টায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন সরাসরি পরীমনির সঙ্গে পরিচয় বা সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেননি।

তিনি বলেন, পরীমনির দায়েকৃত মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এখন এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।

ফলে পরী কেন- অন্য যে কারও সঙ্গে চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচারে লিপ্ত হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।

৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগে কর্মরত।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭আগস্ট, ২০২১)