বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২১ জনের মৃত্যু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন।
আজ সোমবার (০৯ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে বরিশালে একজন, পটুয়াখালীতে দুইজন, ভোলায় একজন ও বরগুনায় দুইজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৩ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৬৮৪ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ১৯২ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৮৩ জন নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৮৬৬ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৮৯ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ৩০০ জন, ভোলায় নতুন ১৩৭ জনসহ মোট ৫ হাজার ৮৪ জন, পিরোজপুরে নতুন ৩১ জনসহ মোট ৪ হাজার ৭৭৫ জন, বরগুনায় নতুন ৩২ জনসহ মোট ৩ হাজার ৩৪২ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২৬ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ৩১৭ জন রয়েছেন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৮৪ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৮৪ জনের মধ্যে ১৩০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২১ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২২৭ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৭৩ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৫৪ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯আগস্ট, ২০২১)