দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা আয়োজনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের।

পরীক্ষার ফলাফল যাতে দ্রুত প্রকাশ করা যায় সে জন্য এবার বিশেষ একটি সফটওয়্যার এনেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে নিয়োগসংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ অনেকটা শেষ করেছি। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ।’

২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

এতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীদের বয়স বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক (পাস) থাকতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯আগস্ট, ২০২১)