আমিও মানুষ, তবে সমালোচনায় প্রভাবিত হই না: সাকিব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রশ্নটা শুনে সাকিব মুচকি হাসলেন। আপনি কি মানুষ? সমালোচনা কি আপনাকে প্রভাবিত করে না? সাকিবের হাসিমাখা উত্তরে কষ্ট লুকিয়ে আছে কিনা সেটা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তবে উত্তরটা সাকিব দিয়েছেন এভাবে, ‘অবশ্যই আমি মানুষ (হাসি)। প্রভাবিত অনেকেই হয়, অনেকে হয় না। আমি হয়তো নিজেকে ওইভাবে তৈরি করে নিতে পেরেছি। আমি প্রভাবিত হই না।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনন্দের মধ্যে এসব কথা আসার পেছনের কারণ একদমই সামান্য। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ চতুর্থ ম্যাচটি হেরেছিল। ব্যাটিং মাত্র ১০৪ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের ধ্রুপদী লড়াইয়ের পরও বাংলাদেশ ম্যাচ হারে মাত্র ৩ উইকেটে। সেটাও ১ ওভার আগে।
সাকিব সেই ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। ১ ওভারে ৩০ রানসহ নিজের বোলিং স্পেলে খরচ করেন ৫০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে যা তার সবচেয়ে হতশ্রী বোলিং। সাকিবের গড়পড়তা বোলিংয়ের পরও বাকিরা মিলে ১৪ ওভারে দেন ৫৫ রান। সমালোচনা হচ্ছে, সাকিব যেই ওভারে ক্রিস্টিয়ানের হাতে ৫ ছক্কা হজম করেছেন সেই ওভারেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।
এসব অবশ্য সাকিব নিজে, তার সতীর্থ ও টিম ম্যানেজমেন্টের কেউই বলছে না, বিশ্বাস করে না। ক্রিকেটে একটি বাজে দিন যেতেই পারে। সেই দিনটা তার দেখা হয়েছে। তাইতো সাকিব প্রভাবিত হননি। সতীর্থ, অধিনায়ক সবাইকে তিনি পাশে পেয়েছেন। তার মতে, তার আশেপাশের পরিবেশই তাকে সমালেচনা থেকে দূরে রাখে, ‘আমার আশেপাশের পরিবেশ এমন যেখানে আমাকে সমালোচনা প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম থাকে। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান।’
সাকিব ভাগ্যবান বলেই একদিনের ব্যবধানে নিজেকে মেলে ধরেছেন জাদুকরী বোলিংয়ে। ৩.২ ওভারে ১ মেডেন ও ৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর এ বোলিং করার পথে সাকিব গড়েছেন অনন্য কীর্তি। ৯৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরু করেছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচে তিন উইকেটের পর এ ম্যাচে পেয়েছেন ৪ উইকেট। এ ফরম্যাটে লাসিথ মালিঙ্গার পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরি করেছেন। সঙ্গে এক হাজার রান ও এক’শ উইকেটে অনন্য ডাবলের রেকর্ডও গড়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। অভাবনীয় এ কীর্তি কি সমালোচনার জবাব নয়?
সাকিব মুখে বলেননি, কাজে তো করে দেখিয়েছেন। ম্যাচসেরা পাশাপাশি সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার শোকেসে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০আগস্ট, ২০২১)