চট্টগ্রামে জালভোট, কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাই
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে জালভোট, কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে।
রবিবার সকাল থেকেই ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জালভোট প্রদানের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মীর্জাখিল লক্ষ্মীবিবি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন গুলি চালিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। এ সময় চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন সামশুল আলম ও সাইফুল।
কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬টি কেন্দ্র দখল করেছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। উত্তর কাঞ্চনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকর্মীরা কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইচ্ছামতো ভোটপ্রদান করছে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম মুস্তফা।
গোলাম মুস্তফা জানান, ‘কেন্দ্রে মাত্র তিনজন পুলিশ রয়েছে। আমরা অনেকটা জিম্মি। সন্ত্রাসীরা ইচ্ছামতো ভোট দিচ্ছে তাদের প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত নূরুল আবছার চৌধুরীকে (কাপ-পিরিচ)। কেন্দ্রের বেশকিছু ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
ফটিকছড়ি উপজেলার বাবুনগর বোর্ড স্কুল, রোসাঙ্গিরী আহমদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেয়াঁকো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিকনছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুরানগড় সরকারি স্কুল কেন্দ্র দখল করেছে সরকার সমর্থক তৌহিদুল আলমের সমর্থকরা।
এ ছাড়া বাঁশখালির বরগুনা এলাকার ৮ নম্বর কেন্দ্র দখল করে জালভোট প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। আনোয়ারা উপজেলার পীরখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পোলিং অফিসারদের বের করে দিয়ে জোরপূর্বক জালভোট দিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীর (দোয়াত-কলাম) অনুসারীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে কেন্দ্রটি দখলে নেয়।
কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার পুলক দেব। তিনি জানান, ‘তৌহিদুল হক চৌধুরীর সমর্থকরা এসে পোলিং অফিসারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি বিষয়টি ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) অবহিত করেছি।’
একই কেন্দ্রের পোলিং অফিসার মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘আমাদের বের করে দিয়ে তারা ইচ্ছামতো ভোট দিচ্ছেন।’
(দ্য রিপোর্ট/কেএইচএস/এইচএসএম/এজেড/মার্চ ২৩, ২০১৪)