দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভির আরও ৬ কোটি ডোজের দরপ্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।

আজ বুধবারের (১১ আগস্ট) কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

আগামী নভেম্বরের মধ্যে এসব টিকা দেশে আসবে।

বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

৬ কোটি ডোজ টিকা আনতে কত টাকা খরচ হবে, সে সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি মন্ত্রী।

তিনি জানান, আগের যে দামে টিকা কেনা হয়েছে তার চেয়ে বেশি হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘টিকা ক্রয়ের বিষয়ে চীনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মূল্য প্রকাশে বাধা আছে। এটা নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট (তথ্য প্রকাশ না করার শর্তে চুক্তি)। সে জন্য মূল্য প্রকাশের তথ্য দেয়া যাবে না।’

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমরা ১৩ কোটি ৮২ লাখ লোককে টিকা দেব। এর জন্য টিকা লাগবে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ।

‘এ পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ লোককে। বাকি টিকা চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ টিকা দেয়া হবে।’

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা ক্রয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার পর চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধী টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে টিকা সংগ্রহের একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে সরকার, যা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, টিকা কেনার টাকার কোনো সমস্যা হবে না। সরকার দেশের ৮০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনতে চায়।

তারা আরও জানান, টিকাদানের লক্ষ্য পূরণই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য টিকা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১আগস্ট, ২০২১)