এসপির বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় ধর্ষণ মামলার নির্দেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন নুরুন্ননাহার সোনিয়া নামে এক পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসপি মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ কামরুন্নাহারের আদালত এই নির্দেশ দেন।
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন নুরুন্ননাহার সোনিয়া নামে এক পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসপি মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ কামরুন্নাহারের আদালত এই নির্দেশ দেন।
এর আগে, পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন নুরুন্ননাহার সোনিয়া নামক এক পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে। নুরুন্নাহার নিজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদী এবং অভিযুক্ত দুই জনেই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় এসসিসি-৫, সুপার ক্যাম্প, নর্থ ডারফুর, সুদান বাদিনীল বাসায় ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ৩টার দিকে, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে দুপুর ১ টায় এবং ৩ মার্চ ২০২০ সালে নুরুন্নাহারকে মৌখিকভাবে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সুদানের খার্তুমে হোটেল শামলোতে ধর্ষণ করা হয়।
দৈনিক আমার সংবাদের কাছে আসা মামলার অনুলিপিতে দেখা যায়, ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী রাত থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকার হোটেল ডি মেরিডিয়ান লিমিটেডের রুম নাম্বার ২০৬ এবং ১০ নভেম্বর ২০২০ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত একই হোটেলের ৩০৬ নাম্বার রুমে ধর্ষণ করার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নুরুন্ননাহার সোনিয়া।
উল্লখ্যে, ২২ ডিসেম্বর ধর্ষণরে ঘটনা উল্লেখ্য করে নুরুন্ননাহার সোনিয়া অভিযোগ করেছেন, সেদিন আনুমানিক দুপুর ১ টার সময় তার বাসায় মোক্তার হোসেনে প্রবেশ করে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২আগস্ট, ২০২১)