‘মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করতে হবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন ‘শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে, কারো হুংকার বা হুমকিতে পিছপা হবো না।মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষেশনিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএমবিএ সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামআরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকব তাই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে হবে।’
পুঁজিবাজারের বর্তমান উন্নতি কারও একক অবদান নয় বরং সকলের সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পুঁজিবাজারের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা থাইল্যান্ড ও কোরিয়ার সমান ছিল । এখন তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তবে আমরা শিগগিরই তাদেরকে ধরে ফেলব।’
“দেশের অর্থনীতির অর্জনকে প্রচার করার জন্যই আমরা ‘ইউ এস ট্রেড শো, রোড শো ইত্যাদি’ করছি। আমাদেরকে আমাদের অর্জনগুলো প্রচার করতে হবে যাতে সবাই বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। দেশে বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে তারা পুঁজিবাজারে আসবে এতে পুঁজিবাজারের লাভ হবে।তাই সবাইকে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কাজ করতে হবে।”
পৃথিবীর জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ উপমহাদেশের থেকে অর্জিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এই মাটি সোনার মাটি। এদেশ প্রাকৃতিক এবং খনিজ সম্পদে ভরপুর। এখানে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ।”
তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএমবিএ) ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার ভিশন ও মিশন এবং তার আদর্শ আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে।বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার সবটুকু দিয়ে গেছেন। আমরা পথ হারাব না বরং শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সাফল্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিশোধ নেব।’
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো এমন নেতা অনেক দিন পর পর আসে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন পরোপকারী এবং প্রতিবাদী।তাই তিনি মানুষের অধিকার আদায়ে বার বার কারাবরণ করেছিলেন।’
“ বঙ্গবন্ধুর শক্তি ছিল মানুষের ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুর দুর্বলতাও ছিল মানুষের ভালোবাসা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশে এসেছিলেন তখন এসে দেখেন ৪৩ হাজার ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ৩ কোটি মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে আর এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় ৭ কোটি মানুষ ছিল কিন্তু ছিলনা কোন ব্যাংক রিজার্ভ, ছিলনা অর্থনীতির ভিত্তি, তবুও তিনি নিজ যোগ্যতায় দেশকে গড়ে তুলেছেন ”
তিনি আরো বলেন ১৯৫৪ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) যাত্রা শুরু করে ১৯৫৬ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ডিএসই’র উন্নয়নে যে মানদন্ড স্থাপন করেছিলেন তা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষার বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। তাই তিনি শিক্ষার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছন। কারণ যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত।
সভায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত। বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে নিহতদের শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
(দ্য রিপোর্ট/ এ এস/১৪-০৮-২১)