প্যারিসে এখনো বাসা পাননি মেসি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বেশ কয়েক দিন হলো পরিবার নিয়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। নতুন শহরে এখনো নিজেদের চাহিদামতো বাসা খুঁজে পাননি পিএসজি সুপারস্টার। তার ক্লাব পিএসজি আপাতত তাকে বিলাসবহুল হোটেলেই রেখেছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে বাসা পাওয়া নিয়ে মধুর সমস্যায় আছেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। মূলত ছেলেদের স্কুল থেকে কাছাকাছি এবং জিম-পুলসহ একটি নিরিবিলি বাসা খুঁজছেন মেসি।
পিএসজির সঙ্গে চুক্তি সেরে পরিবার নিয়ে প্যারিসের হোটেল লে রয়্যাল মনচিআওতে উঠেছেন মেসি। পছন্দমতো বাসা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত এই হোটেলেই সময় কাটছে মেসি ও স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর।
সংবাদমাধ্যম এএসের প্রতিবেদন অনুসারে, ফ্রান্সের রাজধানীতে তিন ছেলের স্কুল এবং কাছাকাছি দূরত্বে বাসা খুঁজছেন মেসি। তবে মেসি ও তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো নিশ্চিত হতে পারছেন না বাড়ি কিনবেন, নাকি ভাড়া নেবেন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা প্যারিনিয়ানের খবর অনুযায়ী, প্যারিসের বিলাসবহুল এস্টেট এজেন্টরা মেসি এবং তার পরিবারের জন্য বাসা দেখছেন। পিএসজিও তাদের বাড়ি খুঁজতেও সাহায্য করছে। যদিও মেসি ও রোকুজ্জো আদর্শ বাড়ি খোঁজা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না। কারণ প্যারিসে তাদের অবস্থান অস্থায়ী ভেবে ভাড়া বাড়ির কথাই ভাবছেন তারকা দম্পতি।
পিএসজিতে মেসির কিছু সতীর্থের প্যারিসে বাসা খুঁজে দেওয়া এজেন্সি ‘দানিয়েল ফেয়াউ’-এর মুখপাত্র আন্তোনিন টমাস বলেছেন, ‘আর দশজন সাধারণ গ্রাহকরা যেমন সেবা পেয়ে থাকেন, তারাও তেমনটাই চাইছেন। তারকা হিসেবে আলাদা করে বেশি কিছু চাইছেন না। বার্সেলোনায় যেমন ছিলেন, তেমন কিছুই তাদের চাহিদা। যেমন- একটা পরিষ্কার বাড়ি, কোনো সংস্কার করতে হবে না, একটা বাগান এবং সুইমিং পুল ও জিমের ব্যবস্থা। কিন্তু, প্যারিসে ভাড়া বাড়িতে সুইমিং পুল বের করা মুশকিল।’
এদিকে দ্য মিরর জানিয়েছে, বর্তমানে লে রয়্যাল মনচিআওতে হোটেলে মেসির পরিবারকে রাখতে প্রতি রাতে ১৭ হাজার পাউন্ড ভাড়া গুনছে পিএসজি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা।
প্রতি রাতে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মতোই হোটেলই লে রয়্যাল মনচিআও। প্যারিসের খুব বিখ্যাত হোটেল এটি। যেখানে বিখ্যাত ব্যক্তিরাও প্যারিস ভ্রমণে এলে থাকেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, ওয়াল্ট ডিজনি ও রবার্ট ডি নিরোসহ বহু বিখ্যাত মানুষ এ হোটেলে থেকেছেন। ২০১৭ সালে নেইমার পিএসজিতে আসার পর তাকেও এ হোটেলেই রাখা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮আগস্ট, ২০২১)