দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনার মধ্যে মানুষের আয় কমলেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে আদা, হলুদ ও পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে আদা ৯০ টাকা কেজি থাকলেও এখন ১২০ টাকা কেজি। শুধু আদা, হলুদ ও পেঁয়াজ নয়, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে আকাশচুম্বী।


সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরে ভোজ্যতেল ও রসুনের দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ। সংস্থাটির হিসেবে ৭০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে খোলা পাম অয়েলের দাম। এছাড়া ৫০ শতাংশ বেশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।

গত এক বছরের ব্যবধানে সয়াবিন তেল ৫ লিটার বোতলের দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। এক লিটার বোতলের দাম বেড়েছে ৪১ শতাংশ। আর পাম অয়েল সুপারের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশ। একইভাবে দেশি হলুদের দাম বেড়েছে ৪১ শতাংশ। মসলাজাতীয় লবঙ্গের দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ। তেজপাতার দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশ। চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ২৩ শতাংশ। আর এক সপ্তাহ ব্যবধানে খোলা আটার দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, করোনা মহামারি মানুষের আয় কমেছে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ে সীমিত আয়ের মানুষজন। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিংয়ের পাশাপাশি মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান থাকা জরুরি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর আমদানি রসুনের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। এখন রসুন ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি। দেশি হলুদের দাম ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি। এখন সেই হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা কেজি। খোলা পামওয়েল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায লিটার। এখন সেই পামওয়েল ১১৪ থেকে ১১৬ টাকা লিটার। একইভাবে পামওয়েলের (সুপার ) দাম ছিল ৭১ থেকে ৭৫ টাকা লিটার। সেই পামওয়েল এখন ১১৬ টাকা থেকে ১২০ টাকা লিটার।

গত বছরের এ সময়ে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০আগস্ট, ২০২১)