আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আশা তালেবানের
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: তালেবান আফগানিস্তানে তাদের ‘বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী’ শাসনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের আশা করছে। তালেবানের যুক্তি হলো, কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৈশ্বিক নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং এতে কয়েক দশকের নিষ্ঠুর যুদ্ধে আফগানদের যে ভোগান্তি, তা লাঘব হবে। ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির সাংস্কৃতিক কমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে এ কথা বলেন।
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য আবদুল কাহার বলখি বলেন, আফগানিস্তানের সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ‘অর্ন্তভুক্তিমূলক ইসলামি সরকার’ গঠনের যে প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছিল, তার প্রক্রিয়া চলছে এবং শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে।
আবদুল কাহার বলখি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বের কাছে সমঝোতার একটি অনন্য সুযোগ রয়েছে। এবং কেবল আমাদের মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জের জন্য একত্রিত হওয়া নয়, বরং সমগ্র মানবজাতি এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এবং আমাদের সমগ্র জনগণকে বাদ বা উপেক্ষা করে এগুলো অর্জন করা যাবে না।’
আবদুল কাহার বলখি বলেন, ‘আমরা আশা করি—বিশ্বের দেশগুলো আফগান জনগণের বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী সরকার হিসেবে আমাদের স্বীকৃতি দেবে। এই প্রতিনিধি সরকার অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দীর্ঘ সংগ্রাম এবং বিপুল ত্যাগের বিনিময়ে সমগ্র জাতির সমর্থন নিয়ে বিদেশি দখলদারিত্ব থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জন করেছে।’
আফগানিস্তানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়ে দেশটির রাজধানী কাবুলে প্রবেশ এবং দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরে এসব কথা বললেন আবদুল কাহার বলখি। তিনি এমন এক সময় কথাগুলো বলেছেন, যখন সমালোচকেরা জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তালেবানের সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান আল-কায়েদাসহ অন্যান্য চরমপন্থি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫ আগস্ট, ২০২১)