বাংলাদেশগামী ১৬০ আফগান ছাত্রীর সবশেষ অবস্থা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আফগানিস্তানের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা এবং অন্তত ২৮ জন তালেবান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এমন অবস্থায় তালেবানের অনুমতি না পাওয়ায় চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের আফগান ছাত্রীরা আফগানিস্তানের কাবুল এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। বিমানবন্দরের বাইরে সময় কাটছে তাদের। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। তবুও তারা আশায় আছেন কখন অনুমতি মিলবে ।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় থাকা এমন ১৬০ আফগান ছাত্রীর সঙ্গে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষায় আছেন ১৫ বাংলাদেশিও।
আফগানিস্তানের সর্ববৃহৎ টেলিকম কোম্পানি আফগান ওয়্যারলেসে কাজ করতেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার রাজিব বিন ইসলাম। তিনি বলেন, কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে গতকাল আমরা ছয় থেকে সাত বার চেষ্টা চালিয়েছি । কিন্তু সফল হইনি। মার্কিন বাহিনী ও তালেবানের উভয়ের অনুমতি ছাড়া কেউ ভেতরে যেতে পারছে না।
আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে।
আফগান ছাত্রীদের বাংলাদেশে আনার জন্য জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর একটি সুপরিসর এয়ারক্রাফট ভাড়া করেছে। মার্কিন বাহিনী ও তালেবানের অনুমতি পেলে তাদের নিয়ে বিমানটি বাংলাদেশে আসবে। বিমানটিতে কিছু আসন খালি থাকায় আফগানিস্তানের একটি টেলিকম কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার ও ব্র্যাকে কর্মরত বাংলাদেশি যারা এখন আটকে পড়েছেন, তারাও দেশে ফিরবেন ।
সেখানকার কয়েকজন বাংলাদেশি জানিয়েছেন, কাবুলের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। গাড়ি চলছে। দোকানপাট খুলেছে। রাস্তায় তালেবানের টহল আছে। ভয়ভীতি ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর।
.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬ আগস্ট, ২০২১)