দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দীর্ঘ ২০ বছর পর রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। ক্ষমতা দখলের পর ১৩ দিন চলে গেলেও এখনো পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। তবে দেশটিতে এবার একটি অংশগ্রহণমূলক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে তালেবান। এই সরকারে আফগানিস্তানের সব ধরনের নৃ-গোষ্ঠী এবং উপজাতির নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তালেবানের সূত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, আফগানিস্তানের প্রায় এক ডজন গোষ্ঠীপ্রধানের নাম বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের প্রধান হিসেবে একজন আমির-উল মুজাহিদিন থাকবেন। তবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে, তা এখনো জানা যায়নি।

চার কোটি জনসংখ্যার আফগানিস্তানে গোষ্ঠীগত রাজনীতির প্রভাব প্রকট। আফগানিস্তানের রাজনীতির ময়দানে কোনো গোষ্ঠীরই একক আধিপত্য নেই। তবে, মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ পশতুন।

আল জাজিরার সূত্র জানায়, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পরিষদ ভবিষ্যৎ সরকার পদ্ধতি ও মন্ত্রীদের নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত আইন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ, তথ্যমন্ত্রী এবং কাবুলের প্রধান পদ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সূত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা আরও জানায়, তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লাহ বারাদার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে রয়েছেন। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবও প্রাথমিক আলোচনায় অংশ নিতে কান্দাহার থেকে কাবুলে এসেছেন।

তালেবান তরুণ ও নবীনদের সামনে আনতে চাইছে। এরই মধ্যে তাজিক ও উজবেক গোষ্ঠীপ্রধানদের ছেলেদের সরকারে রাখার বিষয়টি তালেবানের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮ আগস্ট, ২০২১)