স্পট ফিক্সিংয়: শাস্তি পেলো আরামবাগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ক্লাবটি এই বছর প্রিমিয়ার লিগ থেকে এরই মধ্যে অবনমন হয়ে গেছে।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ক্লাবটিকে দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দিয়েছে। যার অর্থ তারা চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও খেলতে পারছে না। প্রথম বিভাগে অংশ নিয়ে ওপরের লিগে উন্নতি হলেও তা কার্যকর হবে না। তবে রেলিগেশন হলে কার্যকর হবে।
এর বাইরে ক্লাবের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিভিন্ন সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়েছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও। এএফসির নির্দেশনা পেয়েই বাফুফে ক্লাবটির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে। বাফুফের পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত এবং ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মোবাইল কথোপকথনের ফরেনসিক প্রতিবেদনে স্পট ফিকিংয়ের প্রমাণ পায়।
পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে জমা দেয়ার পর ক্লাবটিকে পেশাদার ফুটবল লিগ থেকে বহিস্কার করে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রথম বিভাগে দুই বছর খেলার নির্দেশ দেয়।
ক্লাবের কর্মকর্তা সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টস এর স্বত্বাধিকারী মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ট্রেনার ভারতের মাইদুল ইসলাম শেখ ও সহকারী ম্যানেজার আরিফ হোসেনকে ফুটবলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্লাবের সাবেক ফিজিও ভারতের সঞ্চয় বোস, প্লেয়ার এজেন্ট ভারতের আজিজুল শেখকে ফুটবল থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্লাবের খেলোয়াড় আপেল মাহমুদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য।
তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মো. রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান স্মিথকে।
দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফুটবলার ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, মিরাজ মোল্লা ও নাইজেরিয়ান চিজোবা ক্রিস্টোফারকে।
.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯ আগস্ট, ২০২১)