দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। একই সঙ্গে বাড়ছে তীরবর্তী এলাকার নদী ভাঙন। ভাঙন ও পানি বৃদ্ধির ফলে অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতির।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদীর তীরবর্তী জেলার চৌহালী ও এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। একদিনের ভাঙনে চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া থেকে বাগুটিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটারব্যাপী এলাকার বিনানই, চরসলিমাবাদ ও এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণ গ্রামের অন্তত ৩০টি বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল-মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন কবলিত এলাকায় বাড়িঘর, গাছ-পালা সরিয়ে নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

বন্যা কবলিত হয়ে পড়া জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে রয়েছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানান, মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ভোর ৬টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৭৫ মিটার। সোমবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৬টায় এই পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৩.৬৯ মিটার। যমুনায় ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ সেন্টিমিটার।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১ আগস্ট, ২০২১)