দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের একটি সুপারমার্কেটে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছ। হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আহডার্ন জানিয়েছেন, হামলাকারী ব্যক্তি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ছিল এবং গোষ্ঠীটির ‘সহিংস উগ্রবাদী’ মতাদর্শে বিশ্বাস করত।

আগে থেকেই তার ওপর পুলিশ নজরদারি করছিল বলেও জানান কিউই প্রধানমন্ত্রী।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এ ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে। একটি সুপারমার্কেটে প্রবেশের পর হামলাকারী ব্যক্তি ছয়জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে গুলি করে পুলিশ।

আহতরা সবাই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত হামলাকারী শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২০১১ সাল থেকে তিনি নিউজিল্যান্ডে বাস করছিল। ২০১৬ সালে প্রথম তাকে জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে গোয়েন্দারা।

হামলাকারী আইএস মতাদর্শের অনুসারী হলেও তার সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীটির কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। স্বপ্রণোদিত হয়েই হামলা চালায় সে।

শুক্রবারের হামলার আগেই তার হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পেরেছিল গোয়েন্দারা এবং প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করেছিল।

জেসিন্ডা আহডার্ন বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, তা ন্যাক্কারজনক। এটা অন্যায়, বিদ্বেষপ্রসূত। একজন ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। এর সঙ্গে কোনো বিশ্বাস, সংস্কৃতি- কিছুরই সম্পর্ক নেই। আমরা বিশ্বাস ও সমর্থন করি না, এমন একটি মতাদর্শের অনুসারী ছিল ওই ব্যক্তি।

‘তাকে আমরা অনেকদিন ধরেই অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি করে আসছিলাম।

‘সে যখন হামলা চালায়, তার ওপর নজরদারির অংশ হিসেবে তখনও আশপাশেই পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিল।’

২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সাক্ষী হয় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত কট্টর এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীর হামলায় ক্রাইস্টচার্চ এলাকার মসজিদে নিহত হন ৫১ জন মুসলিম।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১)