দেড় ঘণ্টা পর ক্রেনের নিচে থেকে উদ্ধার রিকশাযাত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকার সাভারে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে ক্রেনের নিচে চাপা পড়া রিকশাযাত্রীকে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, পাওয়া যায়নি রিকশাচালককে।
উপজেলার নরসিংহপুর সরকার মার্কেট এলাকায় শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার ওই রিকশাযাত্রীর নাম আবুল কালাম। তাকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ক্রেনটি উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এর নিচে আর কেউ চাপা পড়া নেই। এ কারণে উদ্ধারকাজ শেষ করা হয়েছে।
ক্রেনের নিচে কালাম আটকে আছেন বলে জানিয়েছিলেন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা ওই রিকশার আরেক যাত্রী মেহেদী হাসান। তারা সম্পর্কে ফুফাতো ভাই।
মেহেদী হাসান জানান, তারা দুজন ব্যবসার কাজে জামগড়া গিয়েছিলেন। রিকশায় করে ফেরার পথে নরসিংহপুর সরকার মার্কেট এলাকায় একটি ক্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের রিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় তিনি রিকশা থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। এ ঘটনায় কালাম ও রিকশাচালক ক্রেনের নিচে আটকা পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আবুল কালামকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তিনি জীবিত আছেন। রিকশার আরেক যাত্রী বেঁচে যাওয়া মেহেদির ভাষ্য অনুযায়ী ক্রেনের নিচে রিকশাচালক আটকা ছিল। তবে, অপর ক্রেনের সাহায্যে আমরা দুর্ঘটনাকবলিত ক্রেনটি উঠিয়েছি। এর নিচে আর কাউকে চাপা পড়া অবস্থায় পাইনি৷
‘তবে, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে৷ ডিইপিজেডের দুটি ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। যদিও উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে উদ্ধার কাজ কিছুটা বিঘ্ন হয়।’
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতার কারণে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে ঘণ্টাখানেকের জন্য যানজট দেখা গেছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় জানান, উদ্ধারকাজ শেষের পর সড়ক স্বাভাবিক হয়েছে।
আবুল কালাম আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন বলে জানান তার ফুফাতো ভাই মেহেদী। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার পুরাতন শৈলাবাড়ি এলাকায়।
.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১)