দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের ১০টি নদ-নদীর ২২টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুরসহ ১১ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বেড়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার দুই শতাধিক চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট।

এদিকে, সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ করা হলেও তা না পাওয়ার অভিযোগ বন্যার্তদের।

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল।

যমুনা নদীর পানি বাড়ায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার নদীতীরবর্তী ও চরাঞ্চলের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকেম উজানে ভারি বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে তিস্তার তীরবর্তী জেলার ১০টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, ফরিদপুরে নদ-নদীর পানি বেড়ে ৬টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলাগুলোর সাথে চরাঞ্চলের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজলার কমপক্ষে ৪০টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাঁচটি উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ভাঙন দেখা দেয়ায় হুমকিতে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ।

এদিকে, পানি কমলেও জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা দুর্গতরা আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন উঁচু বাঁধ ও সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১)