মিয়ানমারে প্রতিরোধ যোদ্ধা-সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ২০
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) ‘জনতার প্রতিরোধ যুদ্ধ’ ঘোষণা পর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংঘাতে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশটির মিয়ান থার গ্রামে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবীরা জাতীয় ঐক্য সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করেন। সামরিক বাহিনী ভারী কামান ও অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে।
সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এখানকার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় তিন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ১৭ বছর বয়সী এক প্রতিরোধ যোদ্ধা মারা গেছে। সে আমার সন্তান। সব মিলিয়ে ২০ জন লোককে হত্যা করেছে তারা’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪২ বছর বয়সী ওই বাসিন্দা রয়টার্সকে ফোনে আরও বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি তাদের ক্ষমা করব না।’
মিয়ানমার বিবিসি জানিয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের ম্যাগওয়া অঞ্চলের মাইন থারে গ্রামে ১০ জনকে হত্যা করেছে জান্তা। সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ‘জনতার প্রতিরোধ যুদ্ধ’ ঘোষণা করে দেশটির ছায়া সরকার। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার তাগিদেই এই লড়াই। প্রত্যেক নাগরিককে মিয়ানমারের প্রতিটি প্রান্তে মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বাধীন ‘সামরিক সন্ত্রাসীদের’ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আহ্বান জানান ছায়া সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুয়া লাশি লা।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১)